গ্রাম আদালত আইন কি - গ্রাম আদালত আইন এর বিধান

স্মরণাতীত কাল থেকে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের গোড়াপত্তনের পূর্বে আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি এবং প্রচলিত প্রথার ভিত্তিতে গ্রামের বাইজ রাষ্ট্রগণ স্থানীয় বিরোধের শান্তিপূর্ণ

গ্রাম-আদালত-আইন-কি
সমাধান করতেন। তাদের হাতে কতিপয় বিচারিক ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল। সেখান থেকেই গ্রাম আদালত আইন এর বিধান উৎপত্তি। গ্রাম আদালত আইন কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ গ্রাম আদালত আইন কি

গ্রাম আদালত আইন কি

গ্রাম আদালত আইন কি সেটি বুঝতে হলে আমাদের ইতিহাসে ফিরে যেতে হবে। ব্রিটিশ শাসন আমলে দাখিলকৃত ফ্রেজার কমিশন রিপোর্ট সর্বপ্রথম আইনগতভাবে গ্রাম পর্যায়ে আদালত প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। পরবর্তীতে ১৯০৭ থেকে ১৯০৯ সালের হব হাউস কমিশন এবং ১৯১৩ সালে লিভিন্স কমিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিধানসমূহ স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করে।  ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হলেও উভয় দেশে এই একই রূপ বিচার পদ্ধতি বহাল থাকে। 
 
ভারতে বিদ্যমান পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ের বিরোধ জিনিসপত্তিতে অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি ১৯৬১ সালের কাউন্সিলেশন কোর্ট অর্ডিন্যান্স জারির ফলে ছোটখাটো স্থানীয়ভাবে সমাধানের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কে কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়। তাছাড়া ১৯৬১ সালে গৃহীত মুসলিম ফ্যামিলির লস অর্ডিন্যান্স এর মাধ্যমেও ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কে ওই আইন সম্পর্কিত বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান স্থানীয়ভাবে করার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। গ্রাম আদালত আইন কি এই ধারণা উপরোক্ত বিষয়বলি থেকে পাওয়া যায়।

গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য ফৌজদারি মামলা

গ্রাম আদালত কি সেটি বুঝার জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য ফৌজদারি মামলা সম্পর্কে জানা জরুরী। গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ এর প্রথম তফসিলে বর্ণিত বিষয়গুলিগুলো এবং দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত বিষয়াবলী গুলো গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা হিসেবে পরিগণিত। লিখিত বিষয়গুলো হলো-

  • পেনাল কোড এর সেকশন ৩২৩ বা ৪২৬ বা ৪৭ মোতাবেক কোন অপরাধ সংগঠন করা। বেআইনি সমাবেশ সাধারণ উদ্দেশ্য হলে এবং উক্ত বেআইনি সমাবেশে জড়িত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১০ জনের বেশি না হলে পেনাল কোড এর ১৪৩ ও ১৪৭ সেকশন এবং ১৪১ সেকশন এর তৃতীয় বা চতুর্থ দফার সাথে পঠিতব্য।
  • পেনাল কোডের সেকশন ১৬০, ৩৩৪, ৩৪১, ৩৪২, ৩৫২,৩৫৮, ৫০৪, ৫০৬, ৫০৮, ৫০৯, ৫১০।
  • পেনাল কোডের সেকশন ৩৭৯, ৩৮০, ৩৮১ যখন সংঘটিত অপরাধ টি গবাদি পশু সংক্রান্ত হয় এবং গবাদি বসুর মূল্য তিন লক্ষ টাকার কম হয়।
  • পেনাল কোডের সেকশন ৪০৩, ৪০৬, ৪১৭, ৪২০ যখন অপরাধ সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ তিন লক্ষ টাকার কম হয়।
  • পেনাল কোডের সেকশন ৪২৭ যখন অপরাধ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্য ৩ লক্ষ টাকার কম হয়।
  • পেনাল কোডের সেকশন ৪২৮ ও ৪২৯ যখন গবাদি বসুর মূল্য তিন লক্ষ টাকার কম হয়।
উপরের যে কোন অপরাধ সংগঠনের চেষ্টা বা তা সংগঠনের সহায়তা প্রদান করলেও গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা হিসেবে পরিগণিত হবে।

গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য দেওয়ানি মামলা

গ্রাম আদালত কি সেটি জানার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে সেটি হচ্ছে গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য দেওয়ানি মামলা। গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ এর দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত হয়েছে দেওয়ানী মামলার বিষয়াবলি সম্পর্কে। গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য দেওয়ানী মামলা সমূহ হলোঃ

  • জমি সংক্রান্ত সীমা বিরোধ (পাঁচ লক্ষ টাকার নিচে)।
  • ক্ষতিপূরণ দাবি (১ লক্ষ টাকার নিচে)।
  • সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কিত বিষয়।
  • স্বল্প পরিমাণ দেনা পাওনা সম্পর্কিত বিরোধ।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ বলতে বোঝায় যেখানে দুইজন বা একাধিক ব্যক্তির মধ্যে উক্ত জমির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্ব হতে পারে কার সীমানা কতদূর সেটি নিয়ে অথবা হতে পারে জমির পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি। এক জমিতে লাগানো গাছ অন্য জমিতে চলে যাওয়া ইত্যাদি। আর ক্ষতিপূরণ বলতে বোঝানো হয়েছে কেউ কারো ফসল গবাদি পশু বা অন্যান্য আর্থিক ক্ষতি করল যার পরিমাণ এক লক্ষ টাকার নিচে হলো এর ক্ষেত্রে তিনি দেওয়ানী আদালতে ক্ষতিপূরণ চাইতে
পারেন। জমি সং হস্তান্তর জনিত সমস্যা তখন সৃষ্টি হয় যখন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির জমি কিনে নেয়। এই সমস্যাটি এমন হতে পারে যে জমি বিক্রি করার পর শেষটি রেজিস্ট্রি দিচ্ছে না। অথবা দলিল করার পর জমি দখল হস্তান্তর করছে না। স্বল্প পরিমাণ দেনাপাওনা সম্পর্কিত বিরোধ বলতে বোঝাচ্ছে স্বল্প ঋণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি। যেমন কেউ ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে সে অর্থটা পরিশোধ করছে না। দোকানদারের কাছ থেকে বাকি নেই সেই বাকি পরিশোধ করছে না এই বিষয়গুলি। 

গ্রাম আদালতের আইনি কাঠামো

গ্রাম আদালত আইনটি ২০০৬ সালে পাশ হয়। এর পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের পাঁচটি জেলার ইউনিয়ন পরিষদে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কার্যকর হয়। গ্রাম আদালত আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি শক্তিশালী বিকল্প স্থানীয় পর্যায়ে বিচার ব্যবস্থা চালু করা। যাতে ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় বিরোধ গুলো নিষ্পত্তি করতে পারে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত আইনের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
 
এ নীতিমালায় রয়েছে আদালত কিভাবে গঠন হবে এ আদালতের বিচারক কে হবে এবং এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল কোথায় করা যাবে। এই আইন প্রতিষ্ঠার আরো একটি কারণ হলো বাংলাদেশ সরকার তৎকালীন সময়ে গ্রাম্য অঞ্চলের মানুষের বিচার নিশ্চিত এবং আর্থিকভাবে কম খরচের জন্য এই আইনটি প্রতিষ্ঠিত করে। গ্রাম আদালত আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানের ১১,৫৯ ও ৬০ নং অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

গ্রাম আদালতের মামলা প্রক্রিয়া

গ্রাম আদালতের মামলা প্রক্রিয়া ও বিচার ব্যবস্থা তিনটি পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। মামলা গ্রহণ,সমন ও উপস্থিতি,রায় প্রদান ও কার্যকর। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। গ্রাম আদালতের মামলা প্রক্রিয়ায় যে কোন ব্যক্তি সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে বিরোধের বিষয়টি সম্পর্কে আবেদন করতে পারেন। চেয়ারম্যান এর কাছে উক্ত বিষয়টি সন্তুষ্ট জনক প্রতি ওমান হলে তিনি গ্রাম আদালত গঠন করবেন। গ্রাম আদালত গঠনের পর উভয়পক্ষকে সমনজারি করবেন এবং সমান পাঠাবেন।
সমান পাঠানো বলতে বোঝানো হচ্ছে উভয়পক্ষকে তাদের বিরোধের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা। অর্থাৎ এটির বিচার কার্যাধীন রয়েছে সেটি সম্পর্কে অবগত করা। আদালত গঠনের পর আদালত শুনানি,সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহন এবং পরিশেষে আলোচনা করে রায় প্রদান করেন। বিচারকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে রায় প্রদান করা হয়। এই ক্ষেত্রে তিনভাগের দুই ভাগ বিচারকের একমত হওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। পরিশেষে ইউনিয়ন পরিষদ এর আগে কার্যকর করেন।

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল

গ্রাম আদালতের রায়ে যদি কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হয় অর্থাৎ গ্রাম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যদি কোন পক্ষ আপিল করতে চাই তাহলে তাকে সরকারি জজ কোর্ট বরাবর আপিল করতে হবে। সংক্ষুবদের পক্ষকে অর্থাৎ যে আদালতের রায় বিরুদ্ধে আপিল করতে চাই তাকে উক্ত রায় প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে।
 
সাধারণত গ্রাম আদালত এর সম্পূর্ণ কার্যক্রম নজরদারি করেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের মন্ত্রণালয় এবং ইউনিয়ন পরিষদের তদারকি সংস্থা গ্রাম আদালতের সম্পূর্ণ কার্যক্রম নজরদারিতে রাখেন। গ্রাম আদালত সাংবিধানিক ভিত্তি প্রাপ্ত হওয়ায় সে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এবং সংবিধানের নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ সমূহের বাস্তবায়নও করে থাকে।

গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকর করণ

গ্রাম আদালত কোন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তি বা তার দখল প্রত্যর্পণ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সেই বিষয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদেশ প্রদান করবে এবং তা নির্দিষ্ট রেজিস্টার এ লিপিবদ্ধ করতে হবে। গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবী মিটানোর বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হলে অথবা কোন সম্পত্তি অর্পণ সংক্রান্ত তথ্য তার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। যে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই অর্থ
গ্রাম-আদালত-আইন-কি
 প্রদান করা না হয় সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান তা ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া কর আদায়ের পদ্ধতিতে আদায় করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তকে প্রদান করবেন। যে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করে অন্য কোন প্রকারে দাবি মেটানো সম্ভব সেক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য বিষয়টি এক্তার সম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে উপস্থাপন করতে হবে এবং অনুরূপ আদালত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য এরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যেন ওই আদালত করতে কি উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করলে তার দ্বারা নির্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবেন।

বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব

আদালতের সামনে উপস্থিত হতে হবে এমন কোন সরকারি কর্মচারী যদি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ সহ এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করে যে তার ব্যক্তিগত উপস্থিতির ফলে সরকারি দায়িত্ব পালন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাহলে আদালত তার কাছে হতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধিকে তার পক্ষে গ্রাম আদালতের সামনে হাজির হওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করতে পারবেন। গ্রাম আদালতের সামনে উপস্থিত হতে হবে এমন কোন পর্দাশীল বা বৃদ্ধ মহিলা
এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করতে যদি অসমাপ্ত হয় তাহলে আদালত তার কাছে হতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধিকে তার পক্ষে আদালতের সামনে হাজির হওয়ার জন্য অনুমতি দিতে পারবেন। এই বিষয়গুলি উল্লেখিত রয়েছে গ্রাম আদালত আইনের ধারা ১৫ তে। অর্থাৎ বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার এখতিয়ার গ্রাম আদালত আইনের ধারা ১৫ তে বর্ণিত রয়েছে। 

গ্রাম আদালত ও মধ্যস্থতা

গ্রাম আদালত আইন পর্যালোচনায় প্রতিীয়মান হয় তার চার ধারা অনুযায়ী বিরধের যেকোনো পক্ষ বিরোধটি গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে আবেদন করতে পারবেন। একই আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী অনুরূপ আদালত একজন চেয়ারম্যান ও উভয়পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন করে মোট চারজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে। এটা থেকে সহজে অনুমিত হয় যে গ্রাম আদালত মূলত মধ্যস্থতা ভিত্তিক একটি আদালত যেখানে 
গ্রাম-আদালত-আইন-কি
খোলামেলা পরিবেশে কথা বার্তার মাধ্যমে স্বল্প বায়ে ও স্বল্প সময়ে পক্ষ গনের বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা বিদ্যমান। খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে এবং ওই আলোচনায় উভয় পক্ষের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকে বলে ওই সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষই মেনে নেয় এবং দুই পক্ষেরই জয় হয়। পক্ষদের মধ্যে মতৈক্যের সৃষ্টি হয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসের ক্ষেত্র তৈরি হয়। তাই বলা যায় তৃণমূল পর্যায়ে বিরোধ নিস্পত্তিতে মধ্যশতাকারী আদালত হিসেবে গ্রাম আদালতের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

মন্তব্যঃ গ্রাম আদালত আইন কি

আমাদের আজকের এই কনটেন্ট থেকে স্পষ্ট ভাবে গ্রাম আদালত আইন কি সেটি বোঝা গেল। গ্রাম আদালত আইন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি জনগণের মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। গ্রাম আদালত আইন তখনই সফল হবে যখন এর সঠিক বাস্তবায়ন,
 
প্রশাসনিক সহায়তা এবং সচেতনতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকবে। গ্রাম আদালত আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের দোরগোড়ায় বিচার পৌঁছে দেওয়া। গ্রাম আদালত আইন সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল সমূহ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এবং আইন সম্পর্কে আপনি ও আপনার পরিচিতজনদের সচেতন করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমিন একটিভ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url